ভালোবাসার গোপন গল্প-অমর প্রেমের কথা!
সাহিত্যে প্রেমের উত্তর ছ’শো বছর আগে চসার দিয়ে গিয়েছেন তাঁর ‘ওয়াইফ অফ বাথ’ এর কাহিনীতে। পরপর পাঁচটি স্বামী ও অসংখ্য প্রেমিকের মালিকানী এই ‘ওয়াইফ অফ বাথ’ এর প্রতি একজন চসারের দিব্যি উষ্ণ মধুর
ভালোবাসা আছে বোঝা যায়। একজন নাইট ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পেল। নাইট বড়ই সুপুরুষ তাই রাণীর মায়া হলো, তিনি রাজাকে বলে কয়ে নাইটির প্রাণভিক্ষা নিলেন। রানী নাইট কে বললেন, “বাছা, তুমি যদি এই প্রশ্নের যথার্থ উত্তর দিতে পারো তবে তোমার মুক্তি। আর না পারলে, মৃত্যু। প্রশ্নটা এই: নারী
ইহজীবনে সবচেয়ে বেশি কী চায় ?”নাইট কিছুতেই উত্তর ভেবে পেল না ,শেষে এক মাঠের মধ্যে হতো কুৎসিত এক বৃদ্ধার কাছে জবাবটা মিললো।বুড়ি বলল, “এর বদলে আমি যা চাইবো তাই দিতে হবে। ”নাইট বলল, “দেব গো দেবো এর বদলে আমি প্রাণ ফিরে পাচ্ছি। ”নাইট সভায় গিয়ে উত্তরটা বললেন! “নারী জীবনে সবচেয়ে বেশি চায় তার প্রাণপুরুষ/প্রেমিক পুরুষটির উপর শর্তহীন প্রভূত্ব প্রণয়িনীর নিঃশর্ত দাসখৎ”। রাজসভায় সুচ পড়লেও শব্দ হতো রানী ও তার সখীরা বললেন, “নাইট তুমি মুক্ত”। তৎখনাৎ বুড়ি বলল, “নাইট আমাকে তবে তোমার প্রণয়িনী পত্নী করো, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আছে।” তরুণ নাইট কুশ্রী বুড়ির দিকে চেয়ে
প্রায় কেঁদেই ফেললো-“ তোমার আর যা খুশি তাই নাও প্রাণটাও নাও প্রেম চেওনা”। কিন্তু বুড়ি নাছোড়, সে বিয়েই করবে নাইটকে। আগত্যা রাজসভা থেকে ধরে বেঁধে নাইট এর সাথে বুড়ির নিরানন্দ বিয়ে দেয়া হলো। চুক্তিভঙ্গ তো হতে পারেনা। বাসর গৃহে বউ বলল,“ কই গো স্বামী? এ কেমন বাসর? বউকে আদর করো। ” স্বেচ্ছাচারী ধর্ষণকারী নাইট আর পারলনা, বলেই ফেলল-“তুমি একেই তো কুরুপা, তায় গরিব ভিখিরি, না-জানি কোন নীচরক্ত তোমার গায়ে, তাছাড়া বুড়ি থুথুড়ি, তোমাকে ছুতেই ইচ্ছা করে না। ”বুড়ি হাসিমুখে বলল: স্বামী রুপ চিরকালের নয়, যৌবনও চলে যাবার জন্যই আসে,আর সদ্বংশের লক্ষণ তো কাজেই প্রমাণ হয়, চারিদিকে উচ্চবংশের যা কীর্তিকলাপ সে
তো দেখতেই পাচ্ছি ।গরিব? দরিদ্র সত্বেও অনুদ্বিগ্ন,অভিযোগহীন তিনিই প্রকৃত ঐশ্বর্যবান, কোষাগারে অশেষ ধন নিয়েও যার অভিযোগ,অনুযোগ,উদ্বেগ জমেছে আসলে দরিদ্র তো সে..ই। কাজেই আমাকে অপছন্দ করার চারটি কারণই তোমার ভুল এটাতো বুঝলে ? ”এবার মনস্থির করে আমাকে বলো, তুমি জীবনে কি চাও? আমি জাদু জানি, রূপসী যুবতী স্ত্রী হয়ে তোমার সেবা করতে পারি কিন্তু বিশ্বসুদ্ধ লোক যুবতীর প্রেমে পড়বে, সেও একটু আধটু প্রশ্রয় দিবেই ,মনুষ্য ধর্ম? যুবতী সুন্দরী পত্নী বিশ্বস্ত হবেনা? বুড়ি বউয়ের দিকে
কেউ নজর দেবে না। সেও চিরকাল শুধু তোমারই থাকবে, সংসারেও শান্তি থাকবে, এবার বলো কি তোমার ইচ্ছা? নিরাপত্তা না রুপযৌবন? যুবক অনেক ভেবে কুলনা পেয়ে শেষে বুড়িরই শরণাগত হলো।
ভালোবাসার গোপন গল্প |
......... তুমিই বলে দাও আমার কিসে ভালো হবে? বুড়ি খুশি হয়ে বলল, “তাহলে স্বামী বিবাহিত জীবনে তুমি আমার প্রভূত্ব মেনে নিলে”? নাইট বলল- “নিঃশর্তে” বুড়ি বলল, “তবে একটা চুমু দাও”! অগত্যা স্বামী চুমু দিল। কিন্তু চোখ বন্ধ করে। তারপর......? চোখ খুলে দ্যাখে সামনে রূপসী যুবতী বউ বসে মিটমিট করে হাসছে। বউ বলল- “আমার কাছে যখন নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেছো তখন তুমি দুইটিই পাবে স্বামী। রুপযৌবন এর সাথে বিশ্বস্ততা,আনুগত্য। আমাকে জিতিয়ে দিয়ে তুমি নিজেই জিতে গেলে। ”এই বোধ হয় প্রেমের শেষ কথা প্রেমিকই হোন আর প্রেমিকাই হন একে যদি অন্যকে জিতিয়ে দিয়ে সত্যিই খুশি হতে পারেন, তবে তিনি শেষ জিৎটা জিতে যান অনায়াসে। প্রেম মানেই দিয়ে খুশি হওয়া, নেবার হিসাব কষা নয়! “! আসলে ছোটবেলা থেকে শিখতে হয় কি পায়নি সেটা দেখতে গেলেই দুঃখ! কি দিইনি
সেটা দেখতে হয়,সেখানেই সুখ”। যে কোনো মানবিক সম্পর্কের গোড়ার কথাএবং শেষের কথা এটি। পাওয়াটা আমাদের হাতের মধ্যে নয় দেয়াটা নিজের ক্ষমতার ভেতর ।
Tag:প্রেমের গোপন গল্প,অন্যরকম প্রেম কাহিনী,ভালোবাসার গোপন গল্প-অমর প্রেমের কথা
Picture: collected online.
Tag:প্রেমের গোপন গল্প,অন্যরকম প্রেম কাহিনী,ভালোবাসার গোপন গল্প-অমর প্রেমের কথা
Picture: collected online.
Good post.thank you .
ReplyDeleteThank you too.
ReplyDeletegood writing
ReplyDelete