মজার কাহিনী ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরঃ
মজার কাহিনী
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর |
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর চেনেন না এহেন মানুষ দুই বাংলায় খুব কমই আছেন। তাকে নিয়ে প্রচলিত আছে নানা ঘটনা। এগুলির সত্যতা কতটুকু তা নির্ণয় করা এখন যেমন দুরহ তেমনি আমরা সাধারনরা কোন মজা করলে যতটা প্রচার পায় তার থেকে বিখ্যাতরা মজা করলে মানুষ যেন তা লুফে নেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আসল কথা কাহিনী যতনা তার থেকে তা থেকে আর বেশি করে লেখা বা প্রচার হয়ে থাকে। বিখ্যাতরা যা করেন তাই মজার । আপনি বা আমি করলে তা হবে পাগলামী।
অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তি আছেন যাদের ব্যাক্তিগত জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা শুনলে না হেসে পারা যায় না..........হা হা হা
আসুন তাহলে এবার জেনে নেই মাতৃভক্ত মহান হৃদয় সমাজ সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কে নিয়ে প্রচলিত মজার কাহিনি।
অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তি আছেন যাদের ব্যাক্তিগত জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা শুনলে না হেসে পারা যায় না..........হা হা হা
আসুন তাহলে এবার জেনে নেই মাতৃভক্ত মহান হৃদয় সমাজ সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কে নিয়ে প্রচলিত মজার কাহিনি।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরঃ
১৮২০–১৮৯১ ৷ মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে জন্ম। ছাত্রজীবনেই ব্যাকরণ, কাব্য, অলঙ্কার, বেদান্ত, ন্যায় ও জ্যোতিষ শাস্ত্ৰে পাণ্ডিত্য অর্জন করে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি পান। হিন্দু সমাজে বিধবা বিবাহ প্রবর্তনে অসামান্য ভূমিকা ছিল তাঁর। বহু বিবাহ রোধেও তিনি সোচ্চার ছিলেন। বর্ণ পরিচয়, বেতালপঞ্চবিংশতি, শকুন্তলা, ভ্ৰান্তিবিলাস তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গদ্যগ্রন্থ।
বিদ্যাসাগর চরিতঃ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মের সময় তার বাবা বাড়িতে ছিলেন না। তিনি পাশের গ্রামে হাটে গিয়েছিলেন। ছেলেকে এই সুসংবাদ জানাতে উৎফুল্ল ঠাকুর্দা ছুটলেন হাটের দিকে। পথিমধ্যে ছেলের সাক্ষাৎ পেয়ে বললেন, আমাদের একটি এড়ে বাছুর হয়েছে। সে সময় বাড়িতে একটি গরু ছিল; তারও দু'একদিনের মধ্যে প্রসবের সম্ভাবনা ছিল বিধায় বিদ্যাসাগরের বাবা সে কথা বিশ্বাস করে বাড়িতে ঢুকেই গোয়াল ঘরের দিকে চললেন। তখন বিদ্যাসাগরের দাদু ছেলেকে থামিয়ে রহস্যের হাসি দিয়ে ওদিকে নয়, এদিকে এসো, আমি তোমাকে এড়ে বাছুর দেখিয়ে দিচ্ছি বলে সূতিকাগৃহে নিয়ে গিয়ে সদ্য জন্ম নেওয়া ঈশ্বরচন্দ্রকে দেখিয়ে দিলেন।
পিতামহদেব পরিহাস করিয়া আমায় এড়ে বাছুর বলিয়াছিলেন। তিনি সাক্ষাৎ ঋষি ছিলেন। তাহার পরিহাস বাক্যও বিফল হইবার নহে। আমি যে ক্রমেই এড়ে গরু অপেক্ষাও একগুয়ে হইয়া উঠিতেছিলাম তাহা বাল্যকাল হইতেই আমার আচরণে বিলক্ষণ আবির্ভূত হইত"।
পিতামহদেব পরিহাস করিয়া আমায় এড়ে বাছুর বলিয়াছিলেন। তিনি সাক্ষাৎ ঋষি ছিলেন। তাহার পরিহাস বাক্যও বিফল হইবার নহে। আমি যে ক্রমেই এড়ে গরু অপেক্ষাও একগুয়ে হইয়া উঠিতেছিলাম তাহা বাল্যকাল হইতেই আমার আচরণে বিলক্ষণ আবির্ভূত হইত"।
শ্লোক রচনাঃ
বিদ্যাসাগর তখন সংস্কৃত কলেজের ছাত্র। সেদিন ছাত্ররা ক্লাসে পড়ছিল। কাব্যশাস্ত্রের অধ্যাপক জয়গোপাল তর্কালঙ্কার ক্লাসে ঢুকেই ছাত্রদের বললেন, “গোপালয়ে নমোহস্তু তে” বাক্যটি দিয়ে চতুর্থ চরণ একটি শ্লোক রচনা করতে। বিদ্যাসাগর বাক্যটি শুনেই রসিকতা করে বললেন, এক গোপাল তো দেখছি আমাদের সামনেই রয়েছেন, আর এক গােপাল বহুকাল আগে বৃন্দাবনে লীলা করেছিলেন। কোন গোপালের বর্ণনা করব? ছাত্রের এই বুদ্ধিদীপ্ত সঙ্গত প্রশ্ন শুনে অধ্যাপক জয়গোপাল খুশি হলেন। হেসে বললেন, বেশ বৎস, আপাতত বৃন্দাবনের গোঁপালেরই বর্ণনা কর।
সরস্বতীর স্তবঃ
আর একবার ওই একই অধ্যাপক সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ছাত্রদের একটি শ্লোক লিখতে বললেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর লিখলেন
লুচি কচুরী মতিচুর শোভিতং
জিলিপি সন্দেশ গজা বিরাজিতাম
যস্যাঃ প্ৰসাদনে, ফলারমাপ্নুমঃ
সরস্বতী সা জয়তান্নিরূন্তরম।
লুচি কচুরী মতিচুর শোভিতং
জিলিপি সন্দেশ গজা বিরাজিতাম
যস্যাঃ প্ৰসাদনে, ফলারমাপ্নুমঃ
সরস্বতী সা জয়তান্নিরূন্তরম।
রথ দেখা কলা বেচাঃ
বিদ্যাসাগর তখন সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ। সাধারণত তিনি ছাত্রদের শারীরিক শাস্তি দান পছন্দ করতেন না। তিনি প্রায়ই ক্লাস চলাকালীন টহল দিয়ে বেড়াতেন। একদিন দেখলেন, এক অধ্যাপকের টেবিলের উপর একটি বেত রাখা। তিনি অধ্যাপককে আড়ালে ডেকে ক্লাসে বেত নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলেন। অধ্যাপক বললেন, ম্যাপ দেখানোর সুবিধার জন্য ওটি নিয়ে গিয়েছি। বিদ্যাসাগর হেসে বললেন, বুঝেছি, রথ দেখা এবং কলা বেচা দু’টোই হবে। ম্যাপ দেখানোও হবে। আবার প্রয়োজন হলে ছেলেদের পিঠে দু’ঘা বসানোও যাবে। কী বলেন? একথা শুনে অধ্যাপক মাথা হেট করে রইলেন।
অবতারঃ
একদিন ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগরের কাছে এক গোড়া ব্ৰাহ্মণ দেখা করতে এসেছেন। সেখানে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের কেউই এই অপরিচিত ব্ৰাহ্মণকে প্ৰণাম করলেন না। এই ব্যবহারে ব্ৰাহ্মণ অপমানিত বোধ করলেন। অপমানের জ্বালা মেটাতে উপস্থিতদের লক্ষ্য করে বললেন, এইসব অর্বাচীনদের মনে রাখা উচিত যে, ব্ৰাহ্মণেরা বর্ণশ্রেষ্ঠ, বেদজ্ঞ। এক সময় তারা দেশ ও ধর্মের কল্যাণ সাধন করেছেন। তারা সব সময় সকলেরা প্ৰণম্য । একথা শুনে বিদ্যাসাগর হেসে বললেন, পণ্ডিত মশাই, শ্ৰীকৃষ্ণ একদিন বরাহরূপ (শূকরের চেহারা) ধরেছিলেন বলেই কী ডোমপাড়ায় যত শূকর আছে, তাদের প্রণাম করতে হবে?
মাথা খাওয়াঃ
বিদ্যাসাগরের বাবা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ছোট ছেলে ঈশানচন্দ্র এবং বড় নাতি অর্থাৎ বিদ্যাসাগরের ছেলে নারায়ণকে অত্যাধিক স্নেহ করতেন। ফলে বাড়ির অন্য কেউ তাদের শাসন করার খুব একটা সাহস পেত না। অবস্থা বেগতিক দেখে বিদ্যাসাগর পিতৃদেবের মুখোমুখি হলেন। অনুযোগের স্বরে বললেন, বাবা আপনি না নিরামিষাশী? অথচ আপনি দু’বেলা ঈশান আর নারায়ণের মাথা খাচ্ছেন!
স্বৰ্গবাসঃ
কোনো এক সাব-জজ প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর পুনরায় বিয়ে করলে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাকে বললেন, তোমার তো মরার পরেই স্বৰ্গবাস! কেন? আমরা মরলে কিছুদিন নরক যন্ত্রণা ভোগ করে তারপর স্বর্গে যাব। কিন্তু তুমি এখন নরক ভোগ করবে। ফলে মরার পর সরাসরি স্বৰ্গে যাবে।
বই ও শালঃ
একবার এক সম্রান্ত লোক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন। বিদ্যাসাগরের প্ৰিয় শখ ছিল বই পড়া এবং সেগুলো যত্ন করে, বাধাই করে রাখা। এ কাজে তিনি প্রচুর অর্থ ব্যয়ও করতেন। ভদ্রলোক বইগুলো দেখে বললেন, এত খরচ করে বইগুলো বাঁধিয়ে না রাখলেও হতো।কেন? এতে দোষ কী? ঐ টাকায় অনেকের উপকার হতে পারত। বিদ্যাসাগর তামাক খেতে খেতে ভদ্রলোকের শাল লক্ষ্য করে বললেন, আপনার শালটি চমৎকার! কোথেকে, কত দিয়ে কিনেছেন? শালের প্রশংসা শুনে ভদ্রলোক উৎফুল্ল কণ্ঠে বললেন, শালটি পঁচিশ টাকায় খরিদ করা। বিদ্যাসাগর সুযোগ পেয়ে বললেন, পাচ সিকের কম্বলেও তো শীত কাটে, তবে এত টাকার শালের প্রয়োজন কী? এ টাকায়ও তো অনেকের উপকার হতে পারত।
ছাইঃ
ইংরেজ রাজদরবার থেকে বিদ্যাসাগর নতুন উপাধি পেয়েছেন। একথা শুনে এক পল্লীগ্রামের শিক্ষক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসে জিজ্ঞেস করলেন, মশাই, নতুন উপাধিটার মানে কী?
সি-আই-ই ।
তাতে কী হলো?
ছাই! বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ত্বরিত জবাব।
সি-আই-ই ।
তাতে কী হলো?
ছাই! বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ত্বরিত জবাব।
পরিবেশনঃ
বিদ্যাসাগর নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে খুব ভালবাসতেন। অতিথিকে পরিবেশন করার সময় প্রায়ই বলতেন—
হু হু দেয়ং হাঁ হাঁ দেয়ং দেয়ঞ্চ করকম্পনে
শিরসি চালনে দেয়াং ন দেয়ং ব্যঘ্রঝম্পনে ।
হু হু দেয়ং হাঁ হাঁ দেয়ং দেয়ঞ্চ করকম্পনে
শিরসি চালনে দেয়াং ন দেয়ং ব্যঘ্রঝম্পনে ।
মনের ময়নাঃ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একবার গ্রামের এক স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছেন। সেখানে এক মধ্যবিত্ত গৃহস্থের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে খেতে বসে রান্নার বিশেষ প্রশংসা করতে লাগলেন। সে সময় ঐ গ্রামেরই এক ধনী ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও পরদিন বিদ্যাসাগরকে নিমন্ত্রণ করে নানারকম চর্ব-চোষ্য-লেহ্য-পেয় সহকারে আপ্যায়ন করলেন। বিদ্যাসাগর খাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু রান্নার প্রশংসা করছেন না দেখে হতাশ ধনী গৃহকর্তা ব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, রান্না কেমন হয়েছে? ভালো হয়েছে তো?
ভালোই তবে ময়ান কম হয়েছে।
ভদ্রলোক অবাক, কিসের ময়ান?
বিদ্যাসাগর মুচকি হেসে বললেন, মনের ময়ান।
ভালোই তবে ময়ান কম হয়েছে।
ভদ্রলোক অবাক, কিসের ময়ান?
বিদ্যাসাগর মুচকি হেসে বললেন, মনের ময়ান।
বিষ্ঠা সমাচারঃ
বিদ্যাসাগর একদিন গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাঁটছিলেন। পথিমধ্যে সমবয়সী একজন রসিকতা করে বললেন, পণ্ডিত মানুষ, আকাশের দিকে তাকিয়ে হাঁটছ। দেখো পায়ে আবার বিষ্ঠা না লাগে!
বিদ্যাসাগর রসিকতার জবাবে বললেন, এ গ্রামে বিষ্ঠা আসবে কোথেকে? এখানে তো দেখছি সবই গোবর।
বিদ্যাসাগর রসিকতার জবাবে বললেন, এ গ্রামে বিষ্ঠা আসবে কোথেকে? এখানে তো দেখছি সবই গোবর।
ব্রিং মাই চাদরঃ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একদিন ট্রেনে কোথায় যেন যাচ্ছিলেন। সহযাত্রী এক ইংরেজ যুবক বিদ্যাসাগরের বেশভূষা দেখে ভীষণ চটে গেল। বিদ্যাসাগর একসময় বাথরুমে গেলে সাহেব তার ময়লা চাদর জানালা দিয়ে ফেলে দিলেন। ফিরে এসে বিদ্যাসাগর চাদর খুঁজে না পেয়ে সবই বুঝলেন, কিন্তু কিছু বললেন না। কিছুক্ষণ পর ইংরেজ যুবক তাঁর কোটটি রেখে বাথরুমে গেলে বিদ্যাসাগরও একই কাজ করলেন। ফিরে এসে সাহেব নিজের কোটি যথাস্থানে দেখতে না পেয়ে বিদ্যাসাগরকে জিজ্ঞেস করলেন। হোয়ার ইজ মাই কোট?
বিদ্যাসাগর নির্লিপ্তভাবে উত্তর দিলেন, ইওর কোটি হ্যাজ গান টু ব্ৰিং মাই চাদর।
বিদ্যাসাগর নির্লিপ্তভাবে উত্তর দিলেন, ইওর কোটি হ্যাজ গান টু ব্ৰিং মাই চাদর।
পয়সার গরমঃ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর খদ্দরের চাদর পরতেন।শীত বা গ্রীষ্ম যাই হোক না কেন গায়ে শুধু চাদর আর কাঠের খড়ম পরেই সংস্কৃত কলেজে ক্লাস নিতে যেতেন। মাঘ মাসের শীতের সময় প্রতিদিন সকালে এভাবে ঈশ্বর চন্দ্রকে ক্লাস নিতে যেতে দেখে প্রায়ই হিন্দু কলেজের এক ইংরেজ সাহেব যাওয়ার পথে বিদ্যাসাগরকে ক্ষ্যাপানোর জন্য বলতেন, “কি হে,বিদ্যার সাগর, বিদ্যার ভারে বুঝি ঠান্ডা লাগে না তোমার?” বিদ্যাসাগর প্রতিদিন কথা শুনতেন, কিন্তু কিছু বলতেন না। একদিন শীতের সকালে ঠিক একইভাবে তিনি ক্লাস নিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আবার সেই ইংরেজের সাথে দেখা। আবার সেই একই প্রশ্ন। এবার সঙ্গে সঙ্গে ঈশ্বর চন্দ্র তার ট্যামর থেকে একটা কয়েন বের করে বললেন, “ এই যে গুজে রেখেছি, পয়সার গরমে আর ঠান্ডা লাগেনা। এবার হলো তো?”
কথার প্যাচঃ
এক বিয়ে বাড়িতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দেখা হয়ে গেল। বিদ্যাসাগরের পায়ে যথারীতি সেই তালতলার শুড়তোলা চটি। বঙ্কিমচন্দ্র তাই দেখে ঠাট্টা করে বললেন, মহাশয় আপনার চটির শুড় তো বেঁকে ক্রমশ ওপর দিকে উঠছে। শেষ পর্যন্ত আকাশে গিয়ে না ঠেকে!
কী আর করা যাবে বলো! জানোই তো, চটি যত পুরনো হয় ততই বঙ্কিম হয়ে উঠতে থাকে, বিদ্যাসাগর হাসতে হাসতে বললেন।
কী আর করা যাবে বলো! জানোই তো, চটি যত পুরনো হয় ততই বঙ্কিম হয়ে উঠতে থাকে, বিদ্যাসাগর হাসতে হাসতে বললেন।
আকারঃ
এক গরিব ব্ৰাহ্মণ বিদ্যাসাগরের কাছে সাহায্যের জন্য এসেছেন। আজ্ঞে আমি পাঠশালায় ছাত্র পড়াতাম। জমিদারের শয়তানিতে চাকরি গেছে। বড়ই দুরাবস্থায় আছি। বিদ্যাসাগর শুনেই বললেন, আপনার যে চাকরি থাকবে না তা দুরবস্থার আ-কার দেখেই বুঝতে পারছি।
তুলনাঃ
মাইকেল মধুসূদন দত্তের আর্থিক অনটনের সময় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাকে টাকাপয়সা দিয়ে সাহায্য করতেন। একদিন এক মাতাল বিদ্যাসাগরের কাছে সাহায্য চাইতে এলে তিনি স্পষ্ট বলে দিলেন, আমি কোনো মাতালকে সাহায্য করি না। কিন্তু আপনি তো মধুসূদনকে সাহায্য করেন। তিনিও তো মদ্যপান করেন। ঠিক আছে, তুমি ওর মতো ‘মেঘনাদবধ’ কাব্য লিখে আনো। তোমাকেও সাহায্য করব।— বিদ্যাসাগর শর্ত জুড়ে দিলেন।
বিদেশী মালঃ
একদিন সকালে বৈঠকখানায় বসে লেখালেখি করছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। হঠাৎ সেখানে এসে হাজির হলো পাড়ার এক মাতাল ব্রাহ্মন।
ব্রাহ্মন -’বাবা দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর, গরীব বামুনকে দশটা টাকা দাও, একটু দেশী মাল কিনে খাই।’
বিদ্যাসাগর-’দুর হয়ে যা আমার সামনে থেকে। আমি কোন মাতালকে টাকা দেইনা।’
ব্রাহ্মন-’তুমিতো মাইকেল মধু সুদনকে নিয়মিত টাকা দাও। সেই টাকা দিয়ে সে বিদেশী মাল খায় আর আমি দেশী মাল খাবো তাও তুমি টাকা দেবেনা?’
বিদ্যাসাগর-’তোমাকেও দিতুম, যদি তুমি ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যের মত একটা বই লিখতে পারতে।
ব্রাহ্মন -’বাবা দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর, গরীব বামুনকে দশটা টাকা দাও, একটু দেশী মাল কিনে খাই।’
বিদ্যাসাগর-’দুর হয়ে যা আমার সামনে থেকে। আমি কোন মাতালকে টাকা দেইনা।’
ব্রাহ্মন-’তুমিতো মাইকেল মধু সুদনকে নিয়মিত টাকা দাও। সেই টাকা দিয়ে সে বিদেশী মাল খায় আর আমি দেশী মাল খাবো তাও তুমি টাকা দেবেনা?’
বিদ্যাসাগর-’তোমাকেও দিতুম, যদি তুমি ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যের মত একটা বই লিখতে পারতে।
সুত্রঃ ইন্টারনেট/আকাশ
No comments